আমার দেখা সেরা ১০ সিনেমা


Reading Time: 8 minutes

ভাবনাটা ছিল, প্রতিবছর আমার দেখা সেরা ১০ সিনেমার একটা তালিকা হালনাগাদ করবো। কারণ তালিকা প্রতিবছর বদল হয়। নতুন নতুন সিনামা দেখি, ফলে তালিকাও বদলে যায। ২০০৮ সালে একটা তালিকা করেছিলাম। তারপর ২০১০ সালে করেছিলাম এই তালিকাটি। এখন ২০১৯। নতুন তালিকা করলে পুরোপুরি মিলবে না।  কিছু বাদ পড়বে, কিছু আবার তালিকায় ঢুকবে।

সবাইকে বলি, আপনারাও আপনাদের দেখা সেরা ১০ ছবির একটি তালিকা দিতে পারেন। তাতে সিনেমাপ্রেমীরা  অনেক বেশি লাভবান হবেন।

শুরুতেই বলে রাখি, আমি দর্শক হিসেবে খুব উঁচু মানের না। নির্মাণশৈলী আমি ভাল বুঝি না। কেন মুভিটা এত বেশি ভাল লাগছে তাও ব্যাখ্যা করতে পারি না। খালি জানি ভাল লাগছে, মনে প্রভাব পড়ছে। সেই দৃষ্টিকোন থেকে তালিকাটা তৈরি। বলে রাখি পছন্দের ক্রমানুসারে তালিকাটা করা না। সবগুলোই আমার কাছে এক নম্বর।

আমার তালিকা:
১। দি শওশাঙ্ক রিডেমশন: এ ছবিটি বার বারই দেখতে চাই। আমার আজও বিষ্ময় এই ছবিটি কেন পুরস্কারের দৌড়ে খুব বেশি ভাল করলো না। তবে ইন্টারন্টে ব্যবহারকারীদের ভোটে এই ছবিটির স্থান সর্বকালে দ্বিতীয়।
-ShawshankRedemption.jpg
জেল জীবন ও জেল পালানো ছবি। নির্মাণ এবং অভিনয় দুই দিক থেকেই এটি একটি সেরা ছবি। টিম রবিনস এবং মর্গান ফ্রিম্যান এই ছবির প্রধান দুই অভিনেতা।

২। বিফোর সানরাইজ: দুই দেশের দুই জনের দেখা হলে ট্রেনে। মাঝে তারা নেমে গেলো অষ্ট্রিয়ায়, কিছু সময় কাটাতে। বলতে গেলে এইটুকুই ছবি। কিন্তু একবার দেখা শুরু করলে চোখ ফেরানো যায় না, কান রাখতে হয় সজাগ। ছবিতে আমরা খুব বেশি কৃত্তিম সংলাপ শুনি, যেগুলো হয়তো বাস্তব জীবনে আমরা বলি না। বিফোর সানরাইজ এই দিক থেকেই টানে বেশি। আহা! আবার দখতে হবে। ইথান হক ও জুলি ডিপলি আছে এই ছবিতে।
Before_Sunrise_film.jpg
পরের পর্ব বিফোর সানসেট। দুটোই দেখতে হয়। সমালোচকরা কিন্তু মনে করেন মানের দিক থেকে বিফোর সানসেটাই বেশি ভাল।

৩। অ্যামাদিউস: অনেক আগে ছবিটা যখন প্রথম দেখি আমি নিশ্চুপ বসে ছিলাম অনেকক্ষন। মোৎসার্টের জীবন নিয়ে ছবি। শেষ বয়সে বৃদ্ধ একজন দাবি করে যে সেই মোৎসার্টকে খুন করেছে। কিভাবে?
Amadeus.jpg
সেটা নিয়েই ছবি। একজন ঈশ্বর প্রদত্ত প্রতিভা নিয়ে এসেছেন, আরেকজন চেষ্টা করে শিখেছেন মিউজিক। সেটা নিয়ে ঈর্ষার গল্প অ্যামাডিউস। গডকে যখন আনকাইন্ড বলে-সেই দৃশ্য ভোলার না।

৪। ডেড পয়েট সোসাইটি: এই ছবিতে রবিন উইলিয়ামসকে দেখে চমকে উঠেছিলাম। উইটনেসের পরিচালক পিটার উইয়ারের এই ছবিটি ভিন্ন রকমের এক অনুভূতি নিয়ে আসে। এক স্কুলে শিক্ষা দেওয়ার পদ্ধতি নিয়ে ছবি। এক কথায় অসাধারণ।
Dead_poets_society.jpg
এটা সম্ভবত ইথান হকের প্রথম ছবি।

৫। দি পারস্যুট অব হ্যাপিনেস: ক্রিস গার্ডনারের জীবন সংগ্রামের ছবি। ক্রিস (উইল স্মিথ) ও তার ছেলে ক্রিস্টোফারের (জাডেন স্মিথ) জীবনের কাহিনী এই ছবি। ক্রিস ও তার বান্ধবি জমানো সব অর্থ দিয়ে চিকিৎসা সামগ্রী-এক ধরনের স্কানার বিক্রি করে। সহজে বিক্রিও হয় না। বাড়ি ভাড়া বাকি, গাড়ি ক্রমাগত পার্কিং টিকেট খেতে খেতে এক পর্যায়ে গাড়িটাই হাতছাড়া হয়, ডে কেয়ারে রাখা ছেলের জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে হিমসিম ক্রিস। স্কানারও চুরি হয় ক্রিসের। বউও এক সময় ক্রিসকে ছেড়ে চলে যায় নিউইয়র্কে।
-pursuithappyness.jpg
সেই ক্রিস একদিন এক ব্রোকার হাউজের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় একদল সুখী মানুষের চেহারা দেখে তারও ইচ্ছা হয় এখানে কাজ করতে। কিন্তু ক্রিসের সেই শিক্ষাও নেই, নেই কোনো পরিচিত। তারপরেও চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকে। কিভাবে সে ইন্টার্নির সুযোগ পায় সেও এক বিশাল গল্প। তারপরের কাহিনীও আরেক গল্প। সত্যি কাহিনীর এই ছবি যারা দেখেননি তারা জানেন না কি তারা দেখলেন না।

৬। জাজমেন্ট অ্যাট নুরেমবার্গ: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে ছবি। ছবিতে দেখানো হয়েছে জার্মান বিচারকদের ট্রায়াল, যারা বিচারের নামে বিরুদ্ধবাদিদের বিভিন্ন ক্যাম্পে পাঠাতো।
Judgment-at-Nuremberg-.jpg
মুভিটা ৩ ঘন্টার। দেখতে বসলে কখন শেষ হবে টেরই পাওয়া যায় না। ছবির শুরুটা মার্কিন জাজ ডান হাওয়ার্ডের নুরেমবার্গ পৌছানোর মধ্য দিয়ে। এই চরিত্রে দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন স্পেনসার ট্রেসি। যুদ্ধাপরাধী চার বিচারকের একজন ড. আর্নস্ট জেনিং (বার্ট লানকাসটার)। জুডি গারল্যান্ড ও মন্টোগোমারি কিফট ছোট্র দুই চরিত্রে অভিনয় করলেও তাদের অসাধারণ অভিনয়ের রেশ সহজে যায় না। আর আছে জার্মান অভিনেতা, অভিযুক্তদের পরে আইনজীবী হান্স রোলফ (ম্যাক্সিমিলিয়ান স্কেল), সেরা অভিনেতার অস্কার পেয়েছিলেন।

৭। বাইসাইকেল থিভস: ইতালির ছবি। ভিট্টোরিও ডি সিকোর এই অসাধারন ছবিটি ১৯৪৮ সালের। এক দরিদ্র্ মানুষের জীবন সংগ্রামের কাহিনী। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর অর্থনৈতিক মন্দার সময় কিভাবে জীবন যাপন করতে হয়েছে তার কাহিনী।
bycicle thievs.jpg
অনেক কষ্টে কেনা সাইকেলটা চুরি হয়ে যাওয়ার পর নিজেই কিভাবে সাইকেল চোর হয় সেই ছবি। বাবা ও ছেলের কাহিনী। সমালোচকরা মনে করেন এটি বিশ্বের অন্যতম সেরা একটি ছবি।

৮। ইটস এ ওয়ান্ডারফুল লাইফ- ব্লগে আমি যখনই মুভি নিয়ে পোস্ট দিয়েছি, অনেকে এসে বলেছেন এই ছবিটা দেখতে। দেখবো দেখবো করেও দেখা হচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত দেখেই ফেললাম। আমি দারুণভাবে অভিভূত।
-Its_A_Wonderful_Life_.jpg
যদি কখনো কারো মনে হয়, জীবন অর্থহীন, এই জীবনের প্রয়োজন নেই-সেটা যে কত ভুল ধারণা তা বুঝতে পারা যায় এই ছবি দেখলে। জর্জ বেইলি আছে। কিন্তু জর্জ বেইলি যদি না জন্মাতো তাহলে কি এখন যেভাবে সব চলে সেভাবেই চলতো? মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার মুভি হিসেবে এটাইকেই সেরা ভাবা হয়।

৯। দি রিডার: কেন উইনস্লেট একজন মধ্যবয়সী নারী। জার্মানিতে ট্রাম কন্ডাক্টার। ১৬ বছরের মাইকেল তার প্রেমে পড়ে। শারিরীক প্রেম। তবে হান্নার (কেট) পছন্দের বিষয় বই। শারিরীর প্রেমের পর মাইকেলের কাজ হান্নাকে বই পড়ে শোনানো। কখনো আবার আগে বই পড়া তারপর প্রেম। সেই হান্না একদিন উধাও হয়ে গেল মাইকেলের জীবন থেকে।
কয়েকবছর পর মাইকেল হান্নাকে আবিস্কার করে আদালতে। মাইকেল আইনের ছাত্র। শিক্ষা জীবনের অংশ হিসেবে তাকে যেতে হয় আদালতে। হান্না আসামী। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হান্না ছিল বন্দিশিবিরের রক্ষী। হান্না সহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ। হান্নার বিরুদ্ধে অভিযোগ গুরুতর। সবাই সাক্ষী দেয় হান্না ছিল গার্ডদের ইনচার্জ। লিখিত নোটও পাওয়া যায়, যা হান্নার লেখা। হাতের লেখা মিলিয়ে দেখার জন্য বলা হলে হান্না স্বীকার করে নেয় নোটটা তারই লেখা। যাবজ্জীবন হয় হান্নার।
মাইকেল এসময় বুঝতে পারে হান্নার গোপন একটা বিষয়। হান্না আসলে অশিক্ষিতহান্না লিখতে পারে না। দেখা করতে চেয়েও মাইকেল আর দেখা করে না হান্নার সাথে।
-Reader_.jpg
তারপর দিন যায়। মাইকেল (রালফ ফিনেস) এখন একজন আইনজীবি। সংসার টেকেনি। একটা মেয়ে আছে। দীর্ঘদিন পর মাইকেল নতুন করে একটা কাজ শুরু করে। ১৬ বছর বয়সে যে সব উপন্যাস পড়ে শোনাতো হান্নাকে সেসব রেকর্ড করে পাঠাতে শুরু করলো মাইকেল। কারাগারের জীবন অন্যরকম হওয়া শুরু হল হান্নার। এক সময় হান্নার মুক্তির সময় এলে জেল কতৃপক্ষ যোগাযোগ করলো মাইকেলের সাথে। হান্নার আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। তারপর………।
অসাধারাণ অভিনয়। গল্প বলার ঢংটাও খুব ভাল। আমি সহজেই মুগ্ধ হই, এটাতেও হয়েছি।

১০। মিসিং- ১৯৮২ সালে মুক্তি পেয়েছিল গ্রীক পরিচালক কোস্তা গাবরাসের (উচ্চারণ ঠিক হলো?) এই ছবিটি। ছবিতে ছিলেন জ্যাক লেমন ও সিসি স্পাসেক।
১৯৭৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বর। ক্যু হয়েছে চিলিতে। চিলির প্রেসিডেন্ট সালভাদর আলেন্দেকে সরিয়ে দিয়ে জেনারেল অগাস্টো পেনোসে মতা দখল করে কমিউনিস্ট বিরোধী একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে, যা ছিল ১৯৯০ পর্যন্ত। ক্যুতে খুন হন আলেন্দে।
এই দিন মার্কিন সাংবাদিক চার্লস হরমান ফিরছিলেন চিলিতে। আসতে গিয়ে পথে তিনি হয়তো সাী হয়েছিলেন এই ক্যুর। দেখে ফেলেছিলেন কিছু। তাই আর বাসায় ফিরতে পারেননি তিনি। চিলিতে ছিল বউ সিসি স্পাসেক। আমেরিকা থেকে ছেলের খোঁজে চলে আসলো বাবা জ্যাক লেমন। তারপর খোঁজার পালা।
Missing.jpg
এখানেই তৈরি দৃশ্য আর ক্যুর সময় তোলা ডকুমেন্টশন এক করে দিয়েছেন পরিচালক কোস্তা। স্টেডিয়ামে আটক হাজার হাজার চিলিবাসী বা নদীতে ভেসে যাওয়া লাশ-মনে করিয়ে দেয় ৭১ কে।
বাবা এবং ছেলের বউ ঠিকই খুঁজে খুঁজে এই ক্যুর পেছনে মার্কিন দূতাবাস ও সিআইএর হাত বের করে ফেলতে শুরু করলে এক পর্যায় পাওয়া গেছে বলে ছেলের লাশ ফেরত দেওয়া হয় বাবা ও স্ত্রীকে।
এখন কে না জানে এই ক্যুর পেছনে ছিল সিআইএ। বাবা পরে মার্কিন প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলাও করেছিলেন, কিন্তু রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তার স্বার্থে সেই মামলার নিষ্পত্তি হয়নি। সত্য ঘটনা নিয়ে ছবি এই মিসিং।
আরেকটা তথ্য দিই, সেসময়ের চিলির মার্কিন রাষ্ট্রদূত নাথানিয়েল ডেভিস কোস্তা গাবরাসের বিরুদ্ধে ১৫০ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতিপূরণ মামলা করেছিলেন।

মাত্র ১০টা ছবির তালিকা দিয়ে মন ভরছে না। আরও ১০টা দিতে ইচ্ছা করছে। কিছুতেই ১০টা দিতে পারলাম না। এটাকে বলা যায় তালিকায় এই ১০টাও আসতে পারতো।

১. শুটিং ডগস: ভাবছিলাম আনবো হোটেল রোয়ান্ডা। কিন্তু তালিকায় লিখে ফেললাম শুটিং ডগস এর নাম। দুই ছবিরই পটভূমি এক।
রোয়ান্ডার গণহত্যা নিয়ে সেরা ছবি হোটেল রোয়ান্ডা। আবার ছবিটা নিয়ে সমালোচনাও আছে। যেমন রোয়ান্ডায় সে সময় অবস্থানরত ইউনাইটেড ন্যাশন অ্যাসিসট্যান্স মিশন ফর রোয়ান্ডা (ইউএনএএমআইএর)-এর ভূমিকা নিয়ে। বলা হয় তারা আসলে গণহত্যা থামাতে তেমন উদ্যোগ নেয় নাই। তাদের ভূমিকা ছবিটাতে সঠিকভাবে আসেনি।
সেদিক থেকে ব্যতিক্রম শুটিং ডগস। ইকোল টেকনিক অফিসিয়াল রোয়ান্ডার একটা মাধ্যমিক স্কুল। এটি চালায় ফাদার ক্রিস্টোফার। আর শিক হিসেবে লন্ডন থেকে চলে এসেছে জো, এক আদর্শবাদি যুবক। ১৯৯৪ সালে ১১ এপ্রিল রোয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট খুন হলে শুরু হয় গণহত্যা। হুতুরা সংখ্যাগরিষ্ট। তাদের হাতে মারা যায় টুটসিরা। জাতিসংঘ বাহিনী তখন ছিল রোয়ান্ডায় মতা ভাগাভাগি পর্যবেনে। গণহত্যা শুরু হলে স্কুলে ক্যাস্প করে জাতিসংঘ মিশন। একরাতে এখানে আশ্রয় নেয় আড়াই হাজার টুটসি। বাইরে তখন চলছে গণহত্যা। দৃশ্যটা এরকম-ক্যাম্পের ঠিক একশ গজের বাইরেই উল্লাস করছে হুতুরা, সবার হাতে এক-৪৭, রামদা, কুড়াল ইত্যাদি। বের হলেও হত্যা। সারা শহর জুড়ে তখন এই হত্যা উৎসব। স্কুলের গাড়ি চালাতো যে তাকেও দেখা গেল রামদা হাতে। এখানে আশ্রয় নিয়েছে আরো কিছু সাদা চামড়া। সাংবাদিকও আছে।
সবার চোখের সামনে চলছে গণহত্যা। কেউ কিছু করছে না। ইউএন মিশনও না। তাদের নাকি খালি পর্যবেণ করার আদেশ, গুলি করার আদেশ নাই। একসময় সব সাদা চামড়াকে বিশেষ ব্যবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয়। থেকে যায় ফাদার ক্রিস্টোফার ও জো। তারা অসহায় টুটসিদের ছেড়ে যাবে না। এক সময় জাতিসংঘ মিশনের কাছেও অর্ডার আসে ক্যাম্প ছেড়ে দেওয়ার। তারা চলে যাবে। টুটসিদের প থেকে অনুরোধ করা হয় জাতিসংঘ বাহিনীই যেন তাদের মেরে রেখে যায়, তারা হুতুদের হাতে মরতে রাজি না। চলে যায় মিশন। এবার আর জো পারে না। আদর্শবাদী ভাবনা ছেড়ে মৃত্যু ভয়ে সেও চলে যায় মিশনের সাথে। থেকে যায় শুধু ফাদার ক্রিস্টোফার। জাতিসংঘ বাহিনী আড়াই হাজার টুটসিদের হুতুদের হাতে ছেড়ে দিয়ে চলে যায় রোয়ান্ডা ছেড়ে।
Shooting_dogs.jpg
ফাদার যখন টুটসিদের গডের মহিমা শোনায় তখন একজন প্রশ্ন করে বাইরে যারা ওদের মারার জন্য আছে গড কি তাদেরও ভালবাসে? জ্বালানি নেই, ফাদার অর্ডার দেয় সব বাইবেল পুড়িয়ে আগুন জ্বালাতে।
চলে যায় জাতিসংঘ মিশন। কয়েকজন বাচ্চা আর একটা মেয়েকে কোনো রকম বাইরে নিয়ে যায় ফাদার। পথে ফাদারও মারা যায়। ক্যাম্পে থাকা প্রতিটা টুটসি মারা যায় হুটুদের হাতে।
বিবিসি প্রোডাকশনের ছবি। পুরো ঘটনাটিই সত্যি। ১৯৯৪ সালের এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে গণহত্যার শিকার হয় ৮ থেকে ১০ লাখ টুটসি। ছবিটার শুটিং করা হয়েছে রোয়ান্ডার সেই সব স্থানে যেখানে গণহত্যা হয়। অরিজিন্যাল জায়গাগুলোইতেই শুটিং হয় এবং টেকনিশিয়ানরাও ছিল এমন টুটসি যাদের আত্মীয় স্বজন মারা গেছে এই সময়। এমনকি ধর্ষনের শিকার একজনও ছিল ছবিটার সঙ্গে।
যারা দুর্বল চিত্ত তাদের এই ছবি না দেখাই ভাল।

২. শিল্ডলার্স লিস্ট: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার ছবি। কিভাবে একদল ইহুদিকে চীবন বাঁচানো হয় সেই কাহিনী।
Schindler's_List_.jpg

৩. লিভিং লাস ভেগাস: এই ছবি বার বার দেখা যায় কেবলমাত্র নিকোলাস কেজের জন্য। অসাধারণ অভিনয়।
Leaving_las_vegas_.jpg
৪. গেজ, হু ইজ কামিং টু ডিনার: আরেকটি ক্লাসিব ছবি। ক্যাথারিন হেপবার্ন, স্পেন্সার ট্রেসি ও সিডনি পটিয়ার আছে। সেই সময়কার ছবি যখন সাদা-কালোর দ্বন্দ্ব প্রকট। আর মেয়ে যখন একজন কালো ছেলেকে নিয়ে আসলো তখনই উদার বাবা-মায়ের সঙ্গে লেগে গেল ঝামেলা।
-Guess_Who's_Coming_to_Dinner_.jpg

৫. সিংগিং ইন দি রেইন: অসাধারণ একটা গানের ছবি। এই ছবি দেখতে শুরু করলে মুখের হাসিটা আর কখনো বন্ধ হবে না।
Singing_in_the_rain_.jpg

৬. ট্যাক্সি ড্রাইভার:
এই ছবিতে কেনো মার্টিন স্করসিজকে সেরা পরিচালকের অস্কার দেওয়া হয়নি-সে বিতর্ক আজও যায়নি। এই বিতর্ক ঢাকতেই স্করসিজকে তার মানের তুলনায় একটি দুর্বল ছবির জন্য অস্কার দেওয়া হয় গতবার। রবার্ট ডি নিরো আছে, আছে জুডি ফস্টার। এই ছবিতে জুডি ফস্টারকে দেখেই একজন রিগ্যানকে গুলি করেছিল। এক অস্থির সময়ের গল্প ট্যাক্সি ড্রাইভার।
Taxi_Driver_.JPG

৭. সিনেমা প্যারাডিসো: ইতালির ছবি। একজন মুভিপ্রেমির গল্প। তার জীবনের নানা উত্থান পতন, প্রেম, ছোটবেলার মুভি দেখা-সব মিলিয়ে অসাধারণ এক মুভি
CinemaParadiso.jpg

৮. ডিপারচারস:জাপানের ছবি। কোনো ধরণের প্রত্যাশা ছাড়াই দেখতে বসেছিলাম। কিন্তু ছবি শেষ করার পর সেই যে মুগ্ধতা তা আজও আছে।
-Okuribito_(2008).jpg

৯. মি. অ্যান্ড মিসেস আয়ার: ভারতীয় ছবি, অপর্না সেনের। রাহুল বোস ও কঙ্কনা সেন। অসাধারণ একটি ছবি।
-MrMrsIyerPoster.jpg

১০. কাঞ্চনজঙ্গা:
সত্যজিত রায়ের এই ছবিটা বার বার দেখেছি। আরও দেখবো।
_kanchanjangha_.jpg

Advertisements

Occasionally, some of your visitors

Loading

রেটিং

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *